চট্টগ্রাম-৮ ,উপনির্বাচনে মৃত ব্যক্তি, বন্দি এমনকি প্রবাসীরাও ভোট দিয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাকক্ষে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির চার সদস্যের প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট ডাকাতি হয় এমন অভিযোগ করে আমীর খসরু বলেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনের ভোটে মৃত ব্যক্তি, প্রবাসীরা এমনকি জেলে থাকা বন্দিরাও ভোট দিয়েছে। ইভিএমে ভোট ডাকাতি হয় চট্টগ্রামের ভোটে তা প্রমাণিত হয়েছে।
ব্যালটে পুনর্নির্বাচন দাবি করে বিএনপি অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশনকে বলব ব্যালটের মাধ্যমে পুনর্নির্বাচন দিন। ইভিএমে ভোট ডাকাতি হয় সেটি প্রমাণিত হয়েছে। সেখানে কেন্দ্র দখল করেছে, ইভিএমের পাসওয়ার্ড নিয়েছে, ব্যালট ইউনিটে তারা ভোট দিয়েছে।
চট্টগ্রামের উপনির্বাচনে কারচুপির ধরণ নিয়ে আমীর খসরু বলেন, ভোটে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে দেয়নি। যারা যেতে পেরেছে তারা শুধু আঙ্গুলের ছাপ দিয়েছে, ভোটের ব্যালট ইউনিটে ভোটের কাজ আওয়ামী লীগের লোকজন সেরে ফেলেছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনেও যেখানে ইভিএমে ভোট হয়েছে সেখানেও এমন হয়েছে, চট্টগ্রামে তার চেয়েও খারাপ হয়েছে।
ইভিএমে চ্যালেঞ্জের সুযোগ নেই জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ভারতের চেয়ে ১১ গুণ বেশি টাকায় ইভিএম মেশিন কেনা হয়েছে এখানে। আমাদের দেশে অডিট ট্রেইল ও পেপার ট্রেইল নেই। ভারতের মেশিনে তা আছে। পাঁচ-ছয়টি দেশে ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে। সেখানে কমিশন বা সরকার নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ নয়। কিন্তু বাংলাদেশের কমিশন এবং সরকার প্রশ্নবিদ্ধ।
আপনাদের অনুরোধের জবাবে কমিশন কী বলেছে জানতে চাইলে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, তারা বলছে সব ঠিক আছে। আগে ৩০ ডিসেম্বরেও বলেছিল সব ঠিক আছে, এখনো বলছে সব ঠিক আছে। এর বাইরে কমিশন আর কী বলতে পারে?
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে অন্যদের মধ্যে ছিলেন স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।